এমন কিছু মানুষ আছেন, যাঁদের বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদের প্রভাব পড়ে পুরো বিশ্বের ওপর। তেমনই একজন মানুষ হলেন মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধনকুবের বিল গেটসের সঙ্গে বিয়ের ২৭ বছর পর ২০২১ সালে বিচ্ছেদ হয় মেলিন্ডার। গত জুনে টাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে নিজের বর্তমান কাজ নিয়ে কথা বলেছেন
গেটস ফাউন্ডেশন থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ জানিয়েছেন মেলিন্ডা গেটস। তিনি বলেন, ২০২২ সালে ডবস বনাম জ্যাকসন মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়ে গর্ভপাতের অনুমতির অধিকার অঙ্গরাজ্যগুলোর ওপর ন্যস্ত করা হয়েছিল। এমন সিদ্ধান্তের পর মার্কিন নাগরিকদের প্রজননে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে
বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সহ–সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস। সোমবার (১৩ মে) ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে এমন ঘোষণা দেন মেলিন্ডা। তিনি বলেছেন, ফাউন্ডেশনে তাঁর কাজের শেষ দিন হবে ৭ জুন।
সানডে টাইমসকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে, বিল গেটস বিগত দুই বছরকে ‘বেশ নাটকীয়’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তবে বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারি, স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের এবং তাঁর সন্তানদের চলে যাওয়া বিগত দুই বছরের সবচেয়ে ‘অদ্ভুত...
মেলিন্ডার এই চিঠির ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি গেটস ফাউন্ডেশন। মেলিন্ডা প্রতিষ্ঠিত বিনিয়োগ ফার্ম পিভোটাল ভেঞ্চারও এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চায়নি।
বিল গেটস ও মেলিন্ডার দীর্ঘ ২৭ বছরের সংসার জীবনের ইতি ঘটল। যুক্তরাষ্ট্র স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের বিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়েছে। ওয়াশিংটনের কিং কাউন্টি সুপিরিয়র কোর্টের এক আইনজীবী তাদের ডিভোর্স পেপারে স্বাক্ষর করেছেন।
প্রায় দুই দশক আগে মাইক্রোসফটের এক কর্মীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগে তদন্তের মুখোমুখি হয়েছিলেন বিল গেটস। স্ত্রী মেলিন্ডার সঙ্গে বিয়ের ছয় বছর পরই বিল এই সম্পর্কে জড়ান।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালের অক্টোবরে ৫৬ বছর বয়সী মেলিন্ডা বেশ কয়েকজন আইনজীবীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা করেন। মেলিন্ডা জানান, তাঁর স্বামীর সঙ্গে এপস্টেইনের চুক্তি নিয়ে ২০১৩ সাল থেকেই তিনি বিরক্ত।
‘দম্পতি হিসেবে সামনে এগোনে আর সম্ভব বলে আর বিশ্বাস করতে পারছি না’– এইটুকু বলেই বিচ্ছেদ! বিশ্বের চতুর্থ শীর্ষ ধনী বিল গেটস আর মেলিন্ডার বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য এতোটুকু কারণ দর্শানোই যথেষ্ট মনে করছেন না বাংলাদেশের ডিভোর্স বিশেষজ্ঞরা
এই দম্পিতর সম্পদের পরিমান আনুমানিক ১৪৬ বিলিয়ন ডলার। ডিভোর্সের ঘোষণায় তারা আর্থিক পরিকল্পনার কোনও প্রকাশ্য ইঙ্গিত দেননি। যদিও জোর দিয়ে বলেছেন, জনহিতকর কাজ অব্যাহত রাখতে তারা পরস্পরকে সহযোগিতা করবেন।